Mar 13, 2014

চলে যেতে ইচ্ছে হয়- রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ


চলে যেতে ইচ্ছে হয় যাও
দুয়োরে আগলে পথ দাড়াবো না ধূসর নয়ন, অভিমান জ্বলে উঠে
জ্বালাবে না শ্যামল হৃদয় --
নিজেকে আঘাত করে
আমি এই প্রস্থান থামাব।
যদি বিশ্বাস না হয় তবে
পাথরে হৃদয় ছুঁড়ে
ভেঙ্গে দাও নিবিড় পৃথিবী ।
ছিঁড়ে ফ্যালো পরিচয়,
ভালোবাসা বুকের বিন্যাস
ভেতরে আগুন জ্বেলে
আমি তোরে বিশ্বাস দেখাবো।
যতো দূরে ইচ্ছে হয় যাও।
বিশ্বাসী স্বপ্নের কাছে
জেনে নেবো সঠিক ঠিকানা।

Mar 10, 2014

নিঃসঙ্গতা -আবুল হাসান


অতটুকু চায়নি বালিকা!
অত শোভা, অত স্বাধীনতা!
চেয়েছিল আরো কিছু কম,
আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে
বসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিল
মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক!
অতটুকু চায়নি বালিকা!
অত হৈ রৈ লোক, অত ভীড়, অত সমাগম!
চেয়েছিল আরো কিছু কম!
একটি জলের খনি
তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি, চেয়েছিল
একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী!

Mar 3, 2014

ভালোবাসি বলেই তো নাকি? / আদিত্য অনীক


এই যে আমি তোর দিকে চেয়ে থাকি
এই যে আমি দিনরাত্রি তোকে দেখি
তুই সুন্দর বলেই তো নাকি?
এই যে এত সারাদিন ঝগড়াঝাটি
ছুতায় নাতায় কথায় কথায় খুনসুটি
বুকের মধ্যে থাকিস বলেই তো নাকি?
এই যে এত মাথায় মাথায় ঠোকাঠুকি
কথায় কথায় অর্থহীন বকাঝকি
মনের মিল আছে বলেই তো নাকি?
এই যে ঘরে মিথ্যে বলে বাইরে বেরোই
ঘড়ির কাঁটা বন্ধ করে পথ চেয়ে রই
ভালো লাগে বলেই তো নাকি?
এই যে মেলায় যাবার জন্য ডাকিস
ভিড়ের মধ্যে শক্ত হাতে ধরে রাখিস
হারিয়ে যাবার ভয়েই তো নাকি?
এই যে এত ছলাকলা বুকের মধ্যে আগুন জ্বলা
‘ভালোবাসি’ এই কথাটি আজো যে যায়নি বলা
ভালোবাসি বলেই তো নাকি?

Mar 1, 2014

কায়াময়ী নিবেদন........


কায়াময়ী,সে ছিল কায়াময়ী
বড়ই চঞ্চল ছিল তার চক্ষু জোড়া,
তার কন্ঠে যেন দিত কোকিলও সাড়া।
আধো সোনালী কেশ তার
করতো কত মুখে খেলা,
সে যে ছিল কায়াময়ী,অপূর্ব কায়াময়ী।
রঙ্গীন ধরায় সম্মুখীন কায়াময়ী নিবেদন।
নিবেদন ছিল ছেলে দীপ্ত শান্তহরা,
মনে তার কায়াময়ীর মায়া দিল নাড়া।
স্বপ্ন বুনে, স্বপ্ন ক্ষুনে বিচলিত নিবেদন,
কি? হে, দশা তার প্রেমে!
কি ভেবে মরে বাঁচে রাত দিন।
সে যে ছিল কায়াময়ী,মায়াবী কায়াময়ী।
ছন্ন ছাড়া মন নিয়ে গেল তার কাছে
সে আশায় যদি মায়াবিনীর মাঝে
তার প্রণয় প্রলেপ সাজে,
কায়াময়ীর সেই মায়া ভরা হাসি,
বলার রাখলো না আর ভালোবাসি।
খুশির অহোরায় নিবেদন আত্মহারা,
অমৃত সাগরে ঢেউ খেলছিল
নিবেদনের জগত্‍ সারা।
সে যে ছিল তার কায়াময়ী,কায়াময়ী।
প্রেয়সীর স্পর্শ্বের আন্তে
বাড়লো নিবেদনের প্রণয়ের রোগ,
ভারি আলতো করে মনের অংকে
বাধঁলো বিয়োগে বিয়োগে যোগ।
কায়াময়ীর স্বপ্নে বিভোর নিবেদনের আখিঁ,
ভালোবাসি বলতো তারে কত সুবাদে ডাকি।
সে যে ছিল নিবেদনের কায়াময়ী,কায়াময়ী।
কায়াময়ী,ছিল না সে দুরন্ত
না ছিল তার উড়োমনা,
ছাড়তে হলো তারে মদনের হাত,
জড়িয়ে ঘর সংসারের যাতনা।
হয়েগেল সে অন্যের বড় সহজে
নিবেদনরে করে পর,
মলিন মুখ ছিল তার স্বাভাবিক
মনে বয়ে গেল ঝড়।
সে যে ছিল কায়াময়ী,নিঃস্ব কায়াময়ী।
অপ্রাপ্যতার লোকারন্যের ভিড়ে
নিবেদন ছিল একলা অসহায়,
দোষ দিল না রমনী তার কুমারের
তবে রাগ ছিল বহু বটে,
ব্যর্থ নিবেদন নিষ্পলক দাড়িয়ে রইল
নির্বাক সমাপ্তির বিছিন্ন পথে।
আহা! বাধঁবে সংসার নিবেদনের ছিল তার কত স্বাদ,
চূর্ণ স্বপ্ন, চূর্ণ হৃদয় নিয়ে হেটে গেল ওপার।
সে যে ছিল কায়াময়ী,দূঃখী কায়াময়ী।

একাকীত্বের অনুভুতি

এখন আমার একাকীত্বের অনুভুতিগুলো আগের মত তেমন করে আর কষ্ট বাড়ায় না.. আমি এখন একা থাকতে শিখে গেছি... সেই প্রভাতী আলোয় শুরু থেকে শেষ অবধি- ...